ডা. ফয়জুল আজিজ,এ সময়ের একজন ফ্রন্ট লাইন সোলজার;——————————–
অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান

বড়লেখার প্রান্তিক জনপদ শাহবাজপুর।এখানে প্রায় দুই যোগেরও অধিক সময় থেকে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত একমাত্র গ্রেজুয়েশন ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ডা. ফয়জুল আজিজ।অতিথ বর্তমানে সপ্তাহে এক দুই দিন কোনো কোনো চিকিৎসক চেম্বার নিয়ে বসলেও সবাই এ অঞ্চলের মানুষকে সেবা দানের সময় তরান্বিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

COVID-19 এর আক্রমনে বিশ্ব যখন কাবু, মানুষ যখন দিশেহারা তখন একজন মানসম্পন্ন ডিগ্রিধারী ডাক্তার কতোটা প্রয়োজনীয় তাতো বলার অপেক্ষা রাখেনা।নিজের নিকটজনদের মাঝে ৫ জন বড় মাপের ডাক্তার, চাচা ডা. ছাদ উদ্দিন খান ও চাচাতো বোন লুবনা খান ঢাকায়,ভাতিজি ডা.রেহানা পারভিন খান সিলেটে,খালাতো ভাই ডা.আব্দুল বাছিত রাজু ঢাকায়,ডা. জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রামে তাই প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক তাঁদের পাওয়া অনেকটা কঠিন। এমতাবস্তায় পারিবারিক প্রয়োজনে এলাকার অনেক মানুষের মতো অনেকাংশে আমিও ডা. ফয়জুল আজিজের চিকিৎসা সেবার উপর নির্ভরশীল।

পারিবারিক প্রয়োজনে হঠাৎ ডাক্তারের প্রয়োজন দেখা দেয়ায় সন্দেহ হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি আদৌ কী চেম্বারে বসছেন।ফোন দিলাম, জানতে চাইলাম তিনি কোথায়? ভদ্রচিতো সুন্দর উত্তর চেম্বারে।
চেম্বারে গিয়ে দেখি পিপিই পরিহিত অবস্হায় রোগী দেখার কাজে ব্যস্ত।আমাকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় দিলেন।জানতে চাইলে বলল্লেন, “পরিবারের প্রচন্ড চাপ বাসায় থাকার এই চাপ সত্বেও চেম্বারে বসছি,কারণ যে এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে এতোদিন পাশে ছিলাম আজ এই মানুষগুলোকে চরম দু:সময়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি রেখে ঘরে বসি কীভাবে? মহান আল্লাহ্ মহামারিতে মৃত্যু দিলে তা হবে শহিদি মৃত্যু! যাতায়াত অসুবিধাজনক তাই পরিবার সিলেট শহরে থাকলেও আমি থাকি এখানে।”
ডা. ফয়জুল আজিজের চেম্বার হতে চলে আসার পর থেকে তাঁর কথাগুলো আমার মনকে সদা অনুরণিত করছে, আর ভাবছি মানবতা আছে বলেই হয়তো মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।
অভিনন্দন ডা. ফয়জুল আজিজ,আপনি আজ প্রমান করছেন আপনার মতো ডাক্তারাই জাতীর এই দুঃসমে ফ্রন্ট লাইন সোলজার ।
লেখকের ফেইসবুক থেকে নেয়া।

এই সংবাদটি 2114 বার পঠিত হয়েছে